settings icon
share icon
প্রশ্ন

ইফিষীয় পুস্তক

উত্তর


বাক্যাংশঃ ইফিষীয় পুস্তক

মূল বাক্যাংশের ব্যাখ্যাঃ আপনি কি ইফিষীয় পুস্তকটির সারসংক্ষেপ করতে পারেন? ইফিষীয় পুস্তকটির সব কিছু কি সম্পর্কে লিখিত?

লেখকঃ ইফিষীয় ১:১ পদ প্রেরিত পৌলকে ইফিষীয় পুস্তকের লেখক হিসেবে চিহ্নিত করে।

লেখার সময়কালঃ ইফিষীয় পুস্তকটি খুব সম্ভবত ৬০-৬৩ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে লেখা হয়েছিল।

লেখার উদ্দেশ্যঃ পৌল পরিকল্পনা করেছিলেন যে, যারা খ্রীষ্টের ন্যায় পরিপক্কতার জন্য আকাঙ্ক্ষা করে তারা সবাই এই লেখাটি গ্রহণ করবে। ইফিষীয় পুস্তকের মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরের প্রকৃত সন্তানেরা যাতে বিকাশিত হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা। উপরন্তু, ইফিষীয়দের একটি শিক্ষা বিশ্বাসীদের শক্তিশালী করতে এবং প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে যাতে তারা ঈশ্বরের দেওয়া আহ্বান এবং উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। এই চিঠির লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হল একটি পরিপক্ক মণ্ডলী নিশ্চিত করা এবং সজ্জিত করা। এটি খ্রীষ্টের দেহ এবং ঈশ্বরের সুপরিচালনার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে।

মূল বা প্রধান পদসমূহঃ ইফিষীয় ১:৩ পদ, “ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, যিনি আমাদিগকে সমস্ত আত্মিক আশীর্বাদে স্বর্গীয় স্থানে খ্রীষ্টে আশীর্বাদ করিয়াছেন।”

ইফিষীয় ২:৮-১০ পদ, “কেননা অনুগ্রহেই, বিশ্বাস দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ; এবং ইহা তোমাদের হইতে হয় নাই, ঈশ্বরেরই দান; তাহা কর্মের ফল নয়, যেন কেহ শ্লাঘা না করে। কারণ আমরা তাঁহারই রচনা, খ্রীষ্ট যীশুতে বিবিধ সৎক্রিয়ার নিমিত্ত সৃষ্ট; সেইগুলি ঈশ্বর পূর্বে প্রস্তুত করিয়াছিলেন, যেন আমরা সেই পথে চলি।”

ইফিষীয় ৪:৪-৬ পদ, “দেহ এক, এবং আত্মা এক; আবার যেমন তোমাদের আহ্বানের একই প্রত্যাশায তোমরা আহূত হইয়াছ। প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিস্ম এক, সকলের ঈশ্বর ও পিতা এক, তিনি সকলের নিকটে ও সকলের অন্তরে আছেন।”

ইফিষীয় ৫:২১ পদ, “খ্রীষ্টের ভয়ে একজন অন্য জনের বশীভূত হও।”

ইফিষীয় ৬:১০-১১ পদ, “শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁহার শক্তির পরাক্রমে বলবান হও। ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা পরিধান কর, যেন দিয়াবলের নানাবিধ চাতুরীর সম্মুখে দাঁড়াইতে পার।”

সারসংক্ষেপঃ ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মীয় মতবাদ ইফিষীয় পুস্তকের সবচেয়ে বড় অংশ দখল করে আছে। এই চিঠির অর্ধেক শিক্ষা খ্রীষ্টে আমাদের অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত, এবং এর অবশিষ্টাংশ আমাদের অবস্থানকে প্রভাবিত করে। প্রায়শই যারা এই পুস্তক থেকে শিক্ষা দেন তারা সমস্ত মৌলিক নির্দেশনাকে উপেক্ষা করেন এবং সরাসরি সমাপণী অধ্যায়ে যান। এই অধ্যায়েই যুদ্ধ বা সাধুদের সংগ্রামের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যাহোক, এই চিঠির বিষয়বস্তু থেকে সম্পূর্ণভাবে উপকৃত হতে একজনকে এই চিঠিতে পৌলের নির্দেশের শুরু থেকে শুরু করতে হবে।

প্রথমত, খ্রীষ্টের অনুসারী হিসেবে, আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে ঈশ্বর কে যিনি আমাদেরকে তাঁর হতে ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের অবশ্যই সমস্ত মানবতার জন্য ঈশ্বরের কৃতিত্বের জ্ঞানের ভিত্তি হতে হবে। তারপর, আমাদের বর্তমান অস্তিত্ব এবং চলা অবশ্যই অনুশীলন করতে হবে এবং শক্তিশালী হতে হবে। এটি অবশ্যই চলতে থাকবে যতক্ষণ না আমরা নড়বড়ে না হচ্ছি বা না স্তব্ধ না হচ্ছি এবং পুরুষের সুক্ষ্মতা ও শিক্ষার আত্মার সাথে এগিয়ে যাচ্ছি।

পৌলের লেখা এই পুস্তকটি তিনটি প্রধান অংশে বিভক্তঃ (১) এক থেকে তিনটি অধ্যায় ঈশ্বরের সিদ্ধির বিষয়ে তত্ত্বের পরিচয় দেয়। (২) চার এবং পাঁচ অধ্যায় আমাদের বর্তমান অস্তিত্ব সম্পর্কে তত্ত্ব তুলে ধরে। (৩) ছয় অধ্যায় আমাদের দৈনন্দিন সংগ্রাম সম্পর্কিত তত্ত্ব উপস্থাপন করে।

যোগসূত্রঃ ইফিষীয়তে পুরাতন নিয়মের প্রাথমিক যোগসূত্র হল খ্রীষ্টের দেহ (ইফিষীয় ৫:৩২ পদ) হিসেবে মণ্ডলীর চমকপ্রদ (যিহূদীদের কাছে) ধারণা। মণ্ডলীর আশ্চর্যজনক রহস্য (একটি সত্য যা আগে প্রকাশ করা হয় নাই) হল, “ফলতঃ সুসমাচার দ্বারা খ্রীষ্ট যীশুতে পরজাতীয়েরাও সহদায়াদ, দেহের সহাঙ্গ ও প্রতিজ্ঞার সহভাগী হয়” (ইফিষীয় ৩:৬ পদ)। পুরাতন নিয়মের সাধু বা ভাববাদীদের কাছে এটি সম্পূর্ণভাবে গুপ্ত একটি রহস্য ছিল (ইফিষীয় ৩:৫, ৯ পদ)। ইস্রায়েলীয়েরা যারা ঈশ্বরের সত্য অনুসারী ছিল তারা সব সময় বিশ্বাস করত যে তারা একাই ঈশ্বরের মনোনীত লোক (দ্বিতীয় বিবরণ ৭:৬ পদ)। এই নতুর দৃষ্টান্তে পরজাতীয়দের সমান মর্যাদায় গ্রহণ করা অত্যন্ত কঠিন ছিল এবং যিহূদী বিশ্বাসীদের এবং ধর্মান্তরিত পরজাতীয়দের মধ্যে অনেক বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। পৌল “খ্রীষ্টের ভার্যা” হিসেবে পুরাতন নিয়মে পূর্বের অখ্যাত ধারণা মণ্ডলীর রহস্যের কথাও বলেছেন।

বাস্তব বা কার্যকরী প্রয়োগঃ সম্ভবত বাইবেলের অন্যান্য পুস্তকের চেয়ে ইফিষীয় পুস্তকটি খ্রীষ্টিয়ান জীবনে সবচেয়ে বেশি সঠিক মতবাদ এবং সঠিক প্রয়োগের জন্য যোগসূত্রের উপর জোর দেয়। অনেক লোক “ঈশতত্ত্বকে” উপেক্ষা করে এবং পরিবর্তে শুধুমাত্র “বাস্তব বা কার্যকরী” বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায়। ইফিষীয়দের পত্রে পৌল এই যুক্তি তুলে ধরেন যে, ঈশতত্ত্ব বাস্তব বা কার্যকরী। বাস্তবিকভাবে, আমাদের জীবনে আমাদের জন্য ঈশ্বরেরর ইচ্ছা পালন করতে আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে যে, আমরা খ্রীষ্টের মতবাদের অনুসারী।

English



বাংলা হোম পেজে ফিরে যান

ইফিষীয় পুস্তক
© Copyright Got Questions Ministries