settings icon
share icon
প্রশ্ন

১তীমথিয় পুস্তক

উত্তর


মূল বাক্যাংশঃ ১তীমথিয় পুস্তক

মূল বাক্যাংশের ব্যাখ্যাঃ আপনি কি ১তীমথিয় পুস্তকটির সারসংক্ষেপ করতে পারেন? ১তীমথিয় পুস্তকটির সব কিছু কি সম্পর্কে লিখিত?

লেখকঃ ১তীমথিয় পুস্তকটি পৌলের দ্বারা লেখা হয়েছিল (১তীমথিয় ১:১ পদ)।

লেখার সময়কালঃ ১তীমথিয় পুস্তকটি ৬২-৬৩ খ্রীষ্টাব্দে লেখা হয়েছিল।

লেখার উদ্দেশ্যঃ ইফিষীয় মণ্ডলী এবং সম্ভবত এশিয়া প্রদেশের মণ্ডলীগুলির তত্ত্বাবধানের জন্য তার দায়িত্বকে উৎসাহিত করতে প্রেরিত পৌল তীমথিয়কে এই চিঠিটি লিখেছিলেন (১তীমথিয় ১:৩ পদ)। এই চিঠিটি প্রাচীনদের নিয়োগের ভিত্তি স্থাপন করে (১তীমথিয় ৩:১-৭ পদ), এবং মণ্ডলীর কাজমর্মে লোকদের নিযুক্ত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে (১তীমথিয় ৩:৮-১৩ পদ)। সংক্ষেপে বলা যায়, ১তীমথিয় পুস্তকটি হল মণ্ডলী সংগঠিত হওয়া এবং পরিচালনার জন্য একটি নেতৃত্বের নির্দেশিকা।

মূল বা প্রধান পদসমূহঃ ১তীমথিয় ২:৫ পদ, “কারণ একমাত্র ঈশ্বর আছেন; ঈশ্বরের ও মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন।”

১তীমথিয় ২:১২ পদ, “আমি উপদেশ দিবার কিম্বা পুরুষের উপরে কর্তৃত্ব করিবার অনুমতি নারীকে দিই না, কিন্তু মৌনভাবে থাকিতে বলি।”

১তীমথিয় ৩:১-৩ পদ, “এই কথা বিশ্বসনীয়, যদি কেহ অধ্যক্ষপদের আকাঙ্ক্ষী হন, তবে তিনি উত্তম কার্য বাঞ্ছা করেন। অতএব ইহা আবশ্যক যে, অধ্যক্ষ অনিন্দনীয়, এক স্ত্রীর স্বামী, মিতাচারী, আত্মসংযমী, পরিপাটী, অতিথিসেবক এবং শিক্ষাদানে নিপুণ হউন; মদ্যপানে আসক্ত কিম্বা প্রহারক না হন, কিন্তু ক্ষান্ত, নির্বিরোধ ও অর্থলোভ-শূন্য হন।”

১তীমথিয় ৪:৯-১০ পদ, “এই কথা বিশ্বসনীয় এবং সর্বতোভাবে গ্রহণের যোগ্য; কারণ ইহারই নিমিত্ত আমরা পরিশ্রম ও প্রাণপণ করিতেছি; কেননা যিনি সমস্ত মনুষ্যে, বিশেষতঃ বিশ্বাসীবর্গের ত্রাণকর্তা, আমরা সেই জীবন্ত ঈশ্বরের প্রত্যাশা করিয়া আসিতেছি।”

১তীমথিয় ৬:১২ পদ, “বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক সাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ।”

সারসংক্ষেপঃ একজন তরুণ যাজক বা পুরোহিত তীমথিয়ের কাছে লেখা এটি পৌলের প্রথম চিঠি, যিনি পৌলের কাজে সাহায্য করেছিলেন। তীমথিয় একজন গ্রীক ছিলেন। তার মা ছিলেন একজন যিহূদী এবং বাবা ছিলেন একজন গ্রীক। তীমথিয়ের কাছে পৌল কেবল একজন পরামর্শদাতা এবং নেতা ছিলেন না, তিনি তার কাছে পিতার ন্যায় ছিলেন এবং তীমথিয় পৌলের কাছে পুত্রের ন্যায় ছিলেন (১তীমথিয় ১:২ পদ)। পৌল তীমথিয়কে ভ্রান্ত শিক্ষক এবং ভ্রান্ত মতবাদ থেকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করে চিঠিটি শুরু করেন। যাহোক, চিঠির বেশিরভাগই পুরোহিতদের আচরণের সাথে সম্পর্কিত। পৌল মণ্ডলীর জন্য পরিপক্ক নেতার বিকাশ (৩ অধ্যায়) এবং আরাধনা সম্পর্কে তীমিথিকে নির্দেশনা দেন (২ অধ্যায়)। চিঠির বেশিরভাগই পুরোহিতের আচরণ, ভ্রান্ত শিক্ষকদের সম্পর্কে সতর্কবাণী এবং পাপী সদস্য, বিধবা, প্রবীণ এবং দাসদের প্রতি মণ্ডলীর দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করে। সমগ্র চিঠি জুড়ে, পৌল তীমথিয়কে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে, অনুশীলন করতে এবং তার আহ্বানে সত্যে থাকার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

যোগসূত্রঃ ১তীমথিয় পুস্তকে পুরাতন নিয়মের একটি আর্কষণীয় যোগসূত্র হল মণ্ডলীর প্রাচীনেরা “দ্বিগুণ সম্মানের” যোগ্য এবং অন্যায়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সম্মানের যোগ্য বলে বিবেচনা করার ভিত্তির জন্য পৌলের উদ্ধৃতি (১তীমথিয় ৫:১৭-১৯ পদ)। দ্বিতীয় বিবরণ ২৪:১৫, ২৫:৪ এবং লেবীয় ১৯:১৩ পদগুলোর সবই একজন শ্রমিককে তার উপার্জনের অর্থ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে এবং এটি সময়মত কার্য-পদ্ধতিতে করা। মোশির আইনের অংশ দাবি করেছে যে, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে এক বা দুইজন ব্যক্তির সাক্ষীর প্রয়োজন ছিল (দ্বিতীয় বিবরণ ৯:১৫)। মণ্ডলীতে যিহূদী খ্রীষ্টিয়ানেরা তীমথিকে পুরোহিত করায় তারা পুরাতন নিয়মের এই যোগসূত্রগুলি সম্পর্কে ভালভাবেই সচেতন ছিল।

বাস্তব বা কার্যকরী প্রয়োগঃ যীশু খ্রীষ্টকে ঈশ্বর এবং মানুষ হিসেবে মধ্যস্থতাকারীরূপে পৌল দ্বারা উস্থাপিত করা হয়েছে (১তীমথিয় ২:৫), যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের সকলের তিনি ত্রাণকর্তা। তিনি মণ্ডলীর প্রভু, এবং তীমথি তাঁর মণ্ডলীর যাজকীয় কাজের মাধ্যমে তাঁর সেবা করেন। এইভাবে, আমরা তাঁর “বিশ্বাসী পুত্রের” প্রতি পৌলের প্রথম চিঠির মূল প্রয়োগ খুঁজে পাই। পৌল তীমথিকে মণ্ডলীর মতবাদ, মণ্ডলীর নেতৃত্ব এবং মণ্ডলীর পরিচালনার বিষয়ে নির্দেশনা দেন। আমরা বর্তমানে আমাদের স্থানীয় সভা পরিচালনার ক্ষেত্রে সেই একই নির্দেশাবলী ব্যবহার করতে পারি। একইভাবে, একজন পুরোহিতের কাজ এবং পরিচর্যা, একজন প্রাচীনের যোগ্যতা এবং একজন ডিকনের যোগ্যতা আজকে ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক, যেমন তীমথিয়ের সময়ে ছিল। তীমথিয়ের কাছে পৌলের প্রথম চিঠিটি স্থানীয় মণ্ডলীর নেতৃত্ব, পরিচালনা এবং পুরোহিত করার বিষয়ে একটি নির্দেশনামূলক পুস্তকের সমষ্টি। এই চিঠির নির্দেশাবলী খ্রীষ্টের মণ্ডলীর যে কোনো নেতা বা সম্ভাব্য নেতার জন্য প্রযোজ্য এবং আজকেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক যেমন পৌলের সময়ে ছিল। যাদেরকে তাদের মণ্ডলীর নেতৃত্বের জন্য ডাকা হয় নি তাদের জন্য পুস্তকটি এখনও কার্যকরী। প্রত্যেক অনুসারীকে অবশ্যই লড়াই করতে হবে এবং ভ্রান্ত শিক্ষা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রতিটি অনুসারীকে অবশ্যই দৃঢ় এবং উদ্যমী হতে হবে।

English



বাংলা হোম পেজে ফিরে যান

১তীমথিয় পুস্তক
© Copyright Got Questions Ministries